অণুগল্প--ভূতের থাপ্পড়
প্রকাশ চন্দ্র রায়
বাবা'র ডাক্তারি চেম্বারে রাখা কঙ্কালটার মতই ভূতটা। চেম্বারের কঙ্কালটার রঙ সাদা কিন্তু এ ভূতটার রঙ কুচকুচে কালো।
ভানুমতিকে ধরার জন্য পিছন পিছন ছুটে আসছে ভূতটা। ভয় পেয়ে প্রাণপণে ছুটে পালাচ্ছে ভানুমতি। ভূতটাও ছুটছে ভানুমতিকে ধরার জন্য। ভয় পেয়ে থরথর করে কাঁপছে ভানুমতি আর পালাচ্ছে-পালাচ্ছে। ভূতেটার বয়স অনেক বেশি, ভানুমতির বয়স সাত বছর।
পালাতে পালাতে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল ছোট্ট ভানুমতি,আর ঠিক সেই মুহুর্তে মনে পড়ে গেল বাবা'র কথা। গল্পোচ্ছলে বাবা বলেছিল,
-ভূতের গায়ে থুথু ছিটালে তৎক্ষণাত সে ভেড়া হয়ে যায়।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ! সাহস করে ঘাড় ফিরিয়ে একদলা থুথু ছুঁড়ে মারলো সে ভূতটার নাকে-মুখে।
আর যায় কোথায়! ভেড়া হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো রাগে ক্ষেপে গিয়ে গড়গড় করতে করতে কষে একটা থাপ্পড় মারলো ভূতটা ভানুমতির গালে।
থাপ্পড়ের চোটে স্বপ্ন ছুটে গেল ভানুমতির,ঘুমটাও গেলো ভেঙ্গে।
ধড়ফর করে উঠে বসতেই, পাশে শোওয়া রাণদিদি উঠে বসে আর একটা থাপ্পড় মেরে,ওর ঘাড় ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললো,
-আজকেও তুই ঘুমের ঘোরে আমাকে থুথু দিলি,ছিঃ!★ (২রা আগষ্ট ২০২১ সোমবার)