জম্মভূমি ও স্বাধীনতা
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ
কত বছর পড়ে, উদাস সমীরনে মিশেপ্রিয়ার রক্ত ভেজা অঙ্গে এলে অবেলায় অবশেষে। দিনক্ষন, মাস নহে,
এলে শত সহস্র বছর পরে
লাসের পাহাড় সৃষ্টি করে রক্ত নদীর বালুচরে।
রাখালীর বাঁশীর সুরে,বাউলের একতাঁরাতে,
কবি গেয়েছিল কোনকালে--
"ধন ধান্যে পুস্পভরা
আমাদেরি বসুন্ধরা।
তাহার মাঝে আছে দেশ এক
সকল দেশের সেরা।"
তুমি এলে কান্নার সাগর বেয়ে
গুম, হত্যা, ব্যভিচার আর,
জালিমের অত্যাচারের অনলে পুড়ে,
পাড়ি দিয়ে, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে।
তোমার আসার সংকেত কবিমনে দোলা দিয়ে যায়,তাই কবি গায় দিবানিশি--
"আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি।"
বুভুক্ষরা কাঁদে কারাগারে,
শক্তির আঁধার ভর করে
বলে "লাথি মার লাথি মার
ভাঙ্গরে তালা,
যত সব বন্দীশালা আগুন জ্বালা
ফেল উপরি।কারার ঐ লৌহ কপাট।"
কবি নতুনগীতির সৃষ্টি করে গেয়ে উঠেন-
"চল চল চল
উর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল,"
হুংকারে আইয়ুবী মসনদ কাঁপে থর থর,
পলায়ন করে শাসকদল।
জন্মভূমি তুমি স্বাধীন হয়েছ ঠিকই
পেয়েছি স্বাধীনতা,
ধরে রাখতে পারনি নেতাকে
ইহাই কি বাস্তবতা?