ঐ মানুষটি জাতির পিতা
সৌরভ রায়
ঐ মানুষটি-
বুধবার আকাশ বাতাস আলোকিত করে জন্ম নেয় বাংলায়,
ধন্য হয় দেশমাতৃকা ঐ উজ্জ্বল প্রদিপের ছোঁয়ায় ॥
তার মুখমন্ডল যেন দর্শনে অকৃত্রিম মধুময়,
আর হাসির ধ্বনিতে সবার প্রাণখানি জুড়ে যায় ॥
ঐ মানুষটি_
যখন বুঝতে শিখে সবার মনের কোঠরে থাকা ভাষা ,
তখন সুখ নিয়ে বানায়নি নিজের থাকার বাসা ॥
সোনার মানুষের দুঃখের সাথে সর্বদাই দিতে পারে যেন সাড়া,
তাই হৃদয়ে বাঁধে একটাই সুর জীবন দিয়ে বাংলার প্রেমে পড়া॥
ঐ মানুষটি_
পথের মাঝে ছাতা দিয়ে বন্ধুর মুখে আনে হাসি,
বাদলের দিনে নিজে ভিজে বলে অন্যরে ভালোবাসি ।
শীতের দিনে বস্ত্রহীনে নিজ বস্ত্র করে দান,
মানবের খুশিটাই যেন তখন তার হয়ে যায় প্রাণ ।
ঐ মানুষটি_
গোপালের বাঁশির সুরে রস না দেখে শুধু ভাবে,
এই দুঃখের ছায়া থেকে কোনদিন মুক্তি মিলবে ॥
বাজে না কেন আর আনন্দের গান চেয়ে দেখে চারিদিকে,
সুখ কুড়াতে এগিয়ে চলে বেদনা মোঁছার শপথ দৃঢ় রেখে॥
ঐ মানুষটি_
ক্রমে ক্রমে নিজের আত্মায় পরিনত করে বাংলার মাটিকে,
সংকটের আভাস পেলেই যোগ দেয় আন্দোলনের প্রেম মেখে ।
ঐ মানুষটি_
তাই জন্য হায়েনাদের কালো অভিশপ্ত হাতের স্পর্শ পড়াতে ,
স্থির থাকতে পারেনি আর্তনাদের চিৎকারে কান পেতে ।
ভাষণ দেয় সাতই মার্চে বাংলার মুক্তির তরে,
"রক্ত দিয়েছি আরো দিব" বলে উঠে উচ্চসরে ।
ঐ মানুষটি_
মরে যায় তার প্রিয়তম মায়ের মুখের ভাষা ছাড়া,
বাংলাকে মর্যাদার আসনে না দেখলে হয়ে যায় দিশেহারা ।
এইরুপ অতুলনীয় মাতৃপ্রেমে যে মানুষটি বিভোর ছিল সর্বদা ,
সেই হলো সূর্যের তীব্র আলোয় ভরা বাঙ্গালি জাতির পিতা ।